রিমন চৌধুরী,নীলফামারী প্রতিনিধি:
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে নীলফামারীর ডোমারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় ডোমার রেলগেট সংলগ্ন বাটার মোড়ে ডোমার প্রেস ক্লাবের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সহযোগিতা করে ডোমার রিপোর্টার্স ক্লাব ও ডোমার রিপোর্টার্স ইউনিটি।
সমাবেশে উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশ নেন। সভাপতিত্ব করেন ডোমার প্রেস ক্লাব সভাপতি মোজাফফর আলী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রওশন রশিদ। বক্তব্য রাখেন ডোমার রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি রতন রায়, রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি জুলফিকার আলী ভূট্টো, “আমার দেশ” পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, ডোমার প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ, নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন, সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি, রওশন আলম পাপ্পু, রাশেদুল ইসলাম আপেল, শাহিনুর রহমান, রিমুন চৌধুরী, শিশু সাংবাদিক মাহমুদ হাসান প্রমুখ।
এছাড়াও মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রনেতা মাহির মিলন এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর উপজেলা সভাপতি গোলাম আইয়ুব কুদ্দুস।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক তুহিন ছিলেন সত্যনিষ্ঠ ও নির্ভীক সংবাদকর্মী। তার ওপর হামলা ও হত্যা শুধু একজন সাংবাদিককে হত্যা নয়, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনস্বার্থের উপর সরাসরি আঘাত। তারা অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের সাথে গ্রেপ্তারকৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একইসাথে সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, মাঠে কাজ করা সংবাদকর্মীদের সুরক্ষায় বিশেষ সেল গঠন, কোন সাংবাদিক নিহত বা আহত হলে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা এবং সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার কার্যকর করার দাবি তোলেন।
উল্লেখ্য,গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় গাজীপুর শহরের চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি তদন্তে নেমে পুলিশ ও র্যাব এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে সাতজন আদালতে রিমান্ডে রয়েছে।