নিজস্ব প্রতিবেদক
একটি জাতি তখনই উন্নতির চূড়ান্ত সোপানে পৌঁছায়, যখন তার নেতৃত্ব নৈতিকতার আলোয় আলোকিত হয়। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো—আমাদের চারপাশে আজ মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়, রাজনীতি যেন হয়ে উঠেছে ক্ষমতার উৎস, আত্মস্বার্থের খেলা। এই অন্ধকার বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আমি ঘোষণা করছি—নৈতিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়েই আমি কাজ করে যাবো সারাজীবন।
আমার রাজনীতি শুরুই হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে জনজীবনের প্রতিটি ধাপে আমি চেষ্টা করেছি সত্যের পক্ষে কথা বলতে, নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াতে, এবং মানুষের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে। এটা শুধুই রাজনৈতিক শপথ নয়, এটা আমার নৈতিক দায়বদ্ধতা।
আমরা যদি সত্যিই পরিবর্তন চাই, তবে নৈতিকতা ছাড়া সেই পরিবর্তন সম্ভব নয়। যারা ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে মানুষের কষ্ট ভুলে যায়, যারা জনগণের টাকায় বিলাসিতা করে—তাদের জন্য এই মাটিতে আর কোনো জায়গা রাখা যাবে না। দরকার জনতার শক্তি, দরকার আদর্শিক নেতৃত্ব। আমি বিশ্বাস করি, আদর্শবান তরুণরাই পারে এই ভাঙা দেশটাকে নতুনভাবে গড়তে।
নৈতিক রাজনীতি মানে শুধু দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি নয়, এটা মানবিকতা, সহানুভূতি, জবাবদিহিতা এবং জনগণের জন্য নিবেদিতচেতা নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি। আমি কোনো পদ-পদবি চাই না, চাই মানুষের ভালোবাসা আর তাদের আস্থা। কারণ রাজনীতি আমার কাছে শুধুই ক্ষমতার সিঁড়ি নয়—এটা জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনের একটি মহান সুযোগ।
যদি আমার জীবন দিয়েও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হয়, আমি প্রস্তুত। যদি অপপ্রচার, বাধা-বিপত্তি আসে, তবুও আমি নৈতিকতার পথ ছাড়বো না। কারণ আমি জানি, সত্যের জয় হবেই, এবং একদিন এই বাংলার আকাশে নৈতিক রাজনীতিরই জয়ধ্বনি উঠবে।
এই পথ কঠিন—তবুও আমি হার মানবো না। কারণ আমি বিশ্বাস করি, নীতির রাজনীতিই পারে মানুষের ভাগ্য বদলাতে। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমার অঙ্গীকার—নৈতিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সারাজীবন আমি অটল থাকবো।
-আহবায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর