নাজমুল হাসান রাজ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পাঙ্গাসী ইউনিয়নে
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জন্ম নিবন্ধন সনদে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা শামীম রেজার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে,দেশে শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের কোন ফি নেওয়া হয় না। তবে শিশুর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের উপরে সব বয়সীদের ৫০ টাকা এবং সংশোধনের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের এই নিয়ম মানা হচ্ছে না পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদে।
প্রতি জন্ম নিবন্ধন সনদে ৫০ টাকা পরিবর্তে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন
ডিজিটাল সেন্টারের শামীম রেজা। সরেজমিনে খোঁজ নিয়েও এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
সরেজমিন গেলে গত ২১ জুলাই সোমবার এমন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়।
তথ্য অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেজাউল করিম ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ইং সালে যোগদান করেন ।প্রায় ৮ বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছে বলে জানা গেছে। অবস্থান করায় অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দেউলমুড়া গ্রামের হানিফ সেখ জানান, আমার ছেলে বোরহান সেখের জন্ম নিবন্ধন জন্য ২০০ টাকা নিয়েছে।
নওদা ডুমুর গ্রামের অঞ্জনা খাতুনকে প্রতিবেদক জিজ্ঞেস করেন জন্ম নিবন্ধন সনদে কত টাকা দিয়েছেন উত্তরে তিনি বলেন, আমার মেয়ে বয়স পাঁচ বছর। তার জন্য ২০০ টাকা নিয়েছে। আমার ও স্বামীর জন্ম নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক নিজামগাঁতী গ্রামের এক জন তরুণী জানান, আমার বাবার জন্ম নিবন্ধন সনদ ও মৃত্যু সনদের ৩০০ টাকা দিয়েছি।
জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে শামীম রেজা বলেন, আমি তো কারোর কাছে ২০০ টাকা নেয়নি ভাই।
জন্ম নিবন্ধন করতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন,আমি সই করার মালিক। সারাদিন শেষে স্লিপে যে টাকা আসবে আমি ব্যাংকে জমা দেবো।
পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক আনন্দ চন্দ্র বর্মন সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের কে লিখিত অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।