নিজস্ব প্রতিবেদক
“ওমুককে ধইরা জবাই কর, তমুককে গাইরা ফালা”— এই ধরনের স্লোগান কি কোনো সভ্য রাজনৈতিক সমাজের পরিচয় হতে পারে? যেখানে রাজনীতি হওয়া উচিত নীতি, মূল্যবোধ ও ভিন্নমতকে সম্মান করার জায়গা, সেখানে এখন তা রূপ নিচ্ছে হিংসা আর ঘৃণার চর্চায়। স্লোগান হয়ে উঠছে গালাগালি, প্রাণনাশের হুমকি, এমনকি হত্যার আহ্বান। এটা কেবল রাজনীতিকে কলুষিত করে না, বরং গোটা সমাজকেই সহিংসতার পথে ঠেলে দেয়।
আমরা ভুলে যাচ্ছি, মতের ভিন্নতা রাজনীতির স্বাভাবিক রূপ। আপনি কাউকে অপছন্দ করতেই পারেন, তার আদর্শ বা পথের সমালোচনা করতেই পারেন—কিন্তু তাকে মেরে ফেলার ডাক দেয়া কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যারা এমন উগ্র ও সহিংস স্লোগান দিচ্ছেন, তারা না শুধুই আইন লঙ্ঘন করছেন, বরং জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে স্থাপন করছেন এক ভয়াবহ উদাহরণ।
রাজনীতির নামে হিংসার চাষ বন্ধ করতে হবে। আমাদের দরকার এমন রাজনীতি যেখানে যুক্তি দিয়ে পরাজিত করা হবে মিথ্যাকে, ভালোবাসা দিয়ে প্রতিহত করা হবে ঘৃণাকে। দেশের তরুণ প্রজন্ম যদি দেখতে পায় রাজনীতিতে শুধু গালাগালি আর হুমকির চর্চা, তাহলে তারা কখনোই এই পথে আসতে আগ্রহী হবে না। তারা হয় এড়িয়ে যাবে, না হয় জড়িয়ে পড়বে উগ্রতায়।
আমরা কি এমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?
না, আমরা চেয়েছিলাম এক মানবিক, সহিষ্ণু, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যেখানে নেতৃত্ব আসবে সেবা থেকে, আন্দোলন হবে মূল্যবোধের জন্য, আর স্লোগান হবে প্রেরণার ভাষা—not জবাই করার ডাক।
আসুন, আজ থেকেই আমরা সেই রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনি। যেখানে ভাষা হবে শালীন, বক্তব্য হবে শক্তিশালী কিন্তু সম্মানজনক, এবং মতভেদ হবে মতপ্রকাশের মাধ্যম—not মারধরের মাধ্যম।
রাজনীতি হোক আদর্শের, হোক মানুষের কল্যাণে—not ঘৃণার ভাষায় গলার চিৎকারে।
আহবায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর