নিজস্ব প্রতিবেদক
গোপালগঞ্জে এনসিপির (ন্যাশনাল সিটিজেনস্ পার্টি) রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে যখন চারদিকে উত্তেজনা, সংঘাতের শঙ্কা ও প্রাণহানির আশঙ্কা স্পষ্ট, তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন না উঠলেই বরং আশ্চর্যের বিষয়। প্রশ্ন উঠছে—ঝুঁকির বার্তা আগেই জানা ছিল, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কি ইচ্ছাকৃতভাবেই নিশ্চুপ ছিল? নাকি কারো নির্দেশে তারা ‘দেখেও না দেখার’ ভান করেছে?
গোপালগঞ্জ একসময় ছিল একটা রাজনৈতিক দলের শহর, কিন্তু আজ পরিস্থিতি পাল্টেছে। এনসিপি’র মতো উদীয়মান রাজনৈতিক শক্তি মাঠে নামলেই সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়—এটি কোনো গোপন কথা নয়। তাহলে পুলিশ প্রশাসন কি এতটাই অনভিজ্ঞ, যে তারা আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে পারেনি? নাকি প্রস্তুতি নিয়েও তা কার্যকর করেনি?
জনগণের প্রশ্ন একটাই—যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের সাংবিধানিক দায়িত্ব, সেখানে তারা কেন নির্বিকার? কেন প্রতিবারই পুলিশের তৎপরতা দৃশ্যমান হয় ঘটনার পরে, আগেভাগে নয়? এটা কি নিছক ব্যর্থতা, নাকি পরিকল্পিত নিষ্ক্রিয়তা?
গোয়েন্দা বাহিনী কেনো তথ্যদিতে ব্যার্থ হলো?তাদের প্রযুক্তি কেনো কাজ করছেনা,এসব প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক নয়কি?এরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান কিভাবে করতে পারে?
আরেকটি দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, এনসিপির মতো বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির প্রোগ্রামে পুলিশ প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তা যেন বারবার প্রমাণ করছে, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাও কিছু নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সুবিধা রক্ষায় নিয়োজিত। এতে শুধু এনসিপি নয়, গণতন্ত্রের ভবিষ্যতও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
পুলিশ কার? দলীয় নেতার, নাকি জনগণের? এই প্রশ্নের উত্তর এখন জনগণ খুঁজছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির প্রোগ্রামে যদি কোন অঘটন ঘটে থাকে, তার দায় শুধু দোষীদের নয়, নিশ্চুপ পুলিশ প্রশাসনেরও।
আমরা চাই, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দল নয়, আইন ও জনগণের পক্ষে থাকুক। জনগণের করের টাকায় চলা এই বাহিনী যেন কোনো রাজনৈতিক স্বার্থের রক্ষক না হয়—এই প্রত্যাশা থাকাই তো স্বাভাবিক।
– আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর