প্রদীপ চন্দ্র মম
রাস্তায় পড়ে আছে এক মানুষ—
না, মানুষ নয়—মানুষের ছায়া,
জীর্ণ শরীর, হাতটা বাড়ানো—
কেন যেন ধরতে চায় ন্যায় আর দয়া।
একটি ইট উঠে গেছে আকাশ ছুঁয়ে—
পড়ে আসবে এখনই বজ্র হয়ে,
তবু কেউ থামে না, কেউ বলে না—
“থামো! সে তো মানুষ! মেরো না!”
চারপাশে নীরবতা—
নির্লজ্জ, নির্মম, নিঃশব্দ ভয়।
চলছে জীবন, চলছে রাষ্ট্র,
কিন্তু থেমে গেছে বিবেকের কান্না।
এই মৃত্যু কেবল এক দেহের নয়,
এই মৃত্যু মানবতার গালে চপেটাঘাত,
এই মৃত্যু আইন, বিচার আর আশা—
সব কিছুকে করে দেয় চিরকাল ম্লান।
কোথায় রাষ্ট্র? কোথায় আদালত?
কেন ন্যায়ের হাত এত দূরে?
কারা কুড়িয়ে নেয় নির্যাতিতের কান্না,
কারা সাজায় তাকে অপরাধীর সুরে?
উঠো কবি! জ্বালো ভাষার শিখা,
তলোয়ার নয়, কলমে ফোটাও আগুন।
আজকের কবিতা যেন সাক্ষী হয়ে থাকে—
এই নৃশংসতার প্রতিটি দাগ, প্রতিটি দুঃখের রাগে।
বলো—
আমরা এই মৃত্যু ভুলে যাবো না,
আমরা এই রক্তে লেখা ইতিহাস মুছতে দেবো না।
মানুষের চেয়ে বড় ধর্ম নেই—
আর সেই ধর্মে যারা লাথি মারে,
তাদের বিরুদ্ধে
আমরাও একদিন জেগে উঠব—
প্রতিবাদের বজ্র হয়ে,
প্রতিরোধের আগুন হয়ে।
১১/০৭/২০২৫ খ্রিঃ।