নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজনীতি মানে যদি হয় জনসেবা, ন্যায়বিচার ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, তবে তরুণ প্রজন্ম সেখানে আগ্রহী। কিন্তু যদি রাজনীতি হয়ে যায় ‘পাওয়ার পলিটিক্স’—অর্থাৎ ক্ষমতার লোভ, স্বার্থের খেলা, দলীয় দালালি আর দুর্নীতির আস্তানা—তবে তা তরুণদের হৃদয়ে জায়গা পাবে না।
আজকের তরুণ সমাজ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন, প্রযুক্তিতে দক্ষ এবং তথ্যনির্ভর। তারা শুধু বক্তৃতা শুনে মুগ্ধ হয় না, তারা ফ্যাক্ট চায়, ফলাফল চায়, স্বচ্ছতা চায়। তারা জানে, যারা কেবল ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে স্বৈরাচারের পথেই হাঁটে। তারা বুঝে, ‘পাওয়ার পলিটিক্স’ মানেই একটি অদৃশ্য গণ্ডি, যেখানে জনগণকে হয় ব্যবহার করা হয়, না হয় উপেক্ষা।
তরুণরা এখন প্রশ্ন করে:
🔹 কেন নেতারা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেন, আর পরে তা ভুলে যান?
🔹 কেন একটি দেশের প্রশাসন দলীয় স্বার্থে ব্যবহার হয়?
🔹 কেন মেধা নয়, বরং তোষামোদে পদোন্নতি হয়?
এই প্রশ্নগুলোই প্রমাণ করে, তরুণরা আর ক্ষমতার রাজনীতিকে চোখ বন্ধ করে মেনে নিচ্ছে না। তারা বিকল্প খোঁজে, নতুন নেতৃত্ব চায়, চায় জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি।
তবে তরুণদের এই জাগরণকে ভয়ের চোখে দেখে পুরনো রাজনীতির কারিগররা। তারা চায় না পরিবর্তন আসুক, কারণ পরিবর্তন মানেই তাদের অবস্থান প্রশ্নের মুখে পড়া। ফলে তারা ‘পাওয়ার পলিটিক্স’কে টিকিয়ে রাখতে দমননীতি, কালো টাকা ও পেশিশক্তিকে কাজে লাগায়।
কিন্তু ইতিহাস বলে—চাপ দিয়ে চেতনা দমন করা যায় না। পরিবর্তন একদিন হবেই। আর সেই পরিবর্তনের অগ্রভাগে থাকবে তরুণরাই।
তরুণ প্রজন্ম ‘পাওয়ার পলিটিক্স’ মেনে নেবে না, তারা ‘পিপলস পলিটিক্স’ গড়বে—মানুষের জন্য, মানুষের হাতে, মানুষের ভাষায়।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা