1. live@dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒
  2. info@www.dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 :
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

দিগপাইতের মহিলা মেম্বার করিমনের টাকা ও জমি হাতড়াচ্ছে নিকট জনরা

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

কামরুল হাসান:
জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের হবদেশ গ্রামের উছমান আলী চার ছেলে আইন উদ্দিন, আব্বাস আলী, ইদ্রিস আলী ও আলতাব আলী এবং চার মেয়ে রওশনারা, সোনাবান, মানিকজান ও আমিরজানকে ওয়ারিশ রেখে মারা যান। তার নিজ মৌজায় রেখে যাওয়া ৯৩ (তিরানব্বই) শতাংশ জমি ওয়ারিশগন অর্থাৎ ছেলে-মেয়েরা মিলে মৌখিক ঘরোয়া বন্টনের মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসছিল। সে হিসেব মতে প্রত্যেক ছেলে ১৫.৫ (সাড়ে পনের) শতাংশ আর প্রত্যেক মেয়ে ৭.৭৫ (পৌনে আট) শতাংশ করে মালিক হোন। সুতরাং আব্বাস আলী পৈত্রিক বা ওয়ারিশ সূত্রে ১৫.৫ (সাড়ে পনের) শতাংশ জমির মালিক হোন। ঘরোয়া বৈঠকের সিদ্ধান্তে চার ভাই ভরণ পোষন ও দেখভালের জন্য চার বোনকে ভাগ করে নেয়। যেমন-আইন উদ্দিন বোন মানিকজানের, আব্বাস আলী তার বোন রওশনারার, ইদ্রিস আলী বোন সোনাবানের আর আলতাব আলী বোন আমিরজানের দায়িত্ব পায়। তারপর সোনাবান তার ওয়ারিশের ৮ (আট) শতাংশ জমি ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে ১০৩২০ নং দলিল মূলে ইদ্রিস আলীর তিন মেয়ে (১) মোছাঃ পারুল পারভীন, স্বামী- মোঃ মোশারফ হোসেন (২) মোছাঃ রেনুয়ারা বেগম ও (৩) নাবালক মোছাঃ আখি পারভীন, বয়স-১০, সর্ব পিতা- ইদ্রিস আলী, সর্ব সাং- হবদেশ, পোঃ ছোনটিয়া বাজার, থানা ও জেলা- জামালপুর বরাবর সাব কবলা দেন। আমিরজান তার ওয়ারিশের ৭.৫ (সাড়ে সাত) শতাংশ জমি ৩ আগস্ট ২০০৩ তারিখে ১০৩২০ নং দলিল মূলে আলতাব আলী ওরফে গেদা , পিতা-মৃত উছমান আলী, সাং- হবদেশ, পোঃ ছোনটিয়া বাজার, থানা ও জেলা- জামালপুর বরাবর লিখে দেন। মানিকজান তার ওয়ারিশের ৮ (আট) শতাংশ জমি আলফাজ আলী, পিতা-আইন উদ্দিন, সাং- হবদেশ, পোঃ ছোনটিয়া বাজার, থানা ও জেলা- জামালপুর বরাবর দলিল লিখে দেন। উল্লেখ থাকে যে, রওশনারার স্বামী মারা গেলে ভাই আব্বাস আলীর বাড়ীতেই আশ্রয় নেয়। আব্বাছ আলী তার বোন রওশনারার ওয়ারিশের জমি লিখে নিতে চাইলে সে রাজি হয় নি। কারন তার নাবালিকা মেয়ে চাম্পাকে বিয়ে দেয়ার সময় টাকা নিয়ে জমি লেখে দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্ত বিধি বাম! কিছু দিন পরই রওশনারা মারা যায়। তাই নাবালিকা চাম্পা সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এর এক ফাঁকে আলতাব আলী স্ত্রী মালেকা বেগম ও মেয়ে আসমাকে রেখে মারা যায়। তখন থেকে আলতাব আলীর জমির ওয়ারিশ হিসেবে চাম্পা ১.৩১ (এক দশমিক একত্রিশ ) শতাংশ জমির মালিক হয়। চতুর মালেকা বেগম উল্লেখিত ১.৩১ (এক দশমিক একত্রিশ) শতাংশ জমির দাম বাবদ ১৫,০০০ (পনের হাজার ) টাকার লোভ দেখায়ে চাম্পাকে ওয়ারিশের জমি লিখে দিতে রাজি করায়। সে মতে চাম্পাকে সাব-রেজিস্ট্রারী অফিসে নিয়ে তথ্য গোপন রেখে ১.৩১ (এক দশমিক একত্রিশ) শতাংশের স্থলে অবৈধভাবে তার মেয়ে আসমার নামে ৭.৮০ (সাত দশমিক আশি) শতাংশ জমির দলিল করে নেয়। দলিল নং ১৪৩৫৪, তারিখ- ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২। উল্লেখ্য, উক্ত দলিলে তিন জন দাতা মোঃ ইদ্রিস আলীর ২.৬২ ( দুই দশমিক বাষট্টি) শতাংশ, আমিরজানের ১.৩১ (এক দশমিক একত্রিশ) শতাংশ এবং চাম্পা বেগমের ৭.৮০ (সাত দশমিক আশি) শতাংশসহ মোট ১১.৭২ (এগার দশমিক বাহাত্তর) শতাংশ ওয়ারিশের জমির বিক্রিত বাজার মূল্য ১,৬৬,০০০ ( এক লাখ ছেষট্টি হাজার) টাকা উল্লেখ রয়েছে। দাতাগনের মধ্য হতে ইদ্রিস আলী ২৫,০০০ ( পঁচিশ হাজার) আর আমিরজান ১৫,০০০ ( পনের হাজার) টাকাসহ মোট ৪০,০০০ ( চল্লিশ হাজার) টাকা হাতে পেয়েছে। অবশিষ্ট টাকা এখনও দাতাগন হাতে পায় নি। অতএব চাম্পা এখন পর্যন্তও সেই ১৫,০০০ (পনের হাজার ) টাকা হাতে পায় নি।
উল্লেখ্য, আলতাব আলী গেদার মৃত্যুতে আব্বাস আলীও ভাই মোঃ ইদ্রিস আলীর ন্যায় ২.৬২ ( দুই দশমিক বাষট্টি) শতাংশের সমপরিমান জমির ওয়ারিশ হয়। কিন্তু সেই জমিও দিচ্ছেনা আসমা ও তার মা মালেকা। এ সব কারনে চাম্পা বেগম বাদী হয়ে আসমা বেগম গং-এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য প্রথমে পিবিআই-এ পাঠায়। এ মামলায় নিশ্চিত হেরে যাওয়ার ভয়ে পক্ষান্তরে মামালায় ফায়দা পাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রধান বিবাদী তার পক্ষের লোকজনের যোগসাজশে মিথ্যা ও একতরফা আপোসনামা বানিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার নিকট দাখিল করে। পিবিআই-এর তদন্ত কর্মকর্ত সে আলোকে প্রতিবেদন তৈরী করে আদালতে দাখিল করে। বাদীপক্ষ এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নারাজির আবেদন করে। বিজ্ঞ আদালত উক্ত নারাজি মঞ্জুর করে। সেই সাথে মামলাটি পুনঃরায় তদন্তের জন্য সিআইডি-তে পাঠায়। এরপর থেকেই মালেকা বেগম চাম্পা বেগমকে তার জমি থেকে সরে যেতে নানা চাপ দিতে থাকে। চাম্পা বেগম ও তার মামাতো ভাই আতিকুর রহমান এ বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ করে। এ কারনে মালেকা বেগম ও তার লোকজন মিলে আতিকুর রহমানকে একা পেয়ে বেদড়ক মারপিট করে। এ বিষয়ে আতিকুর রহমানের মা করিমন বেগম বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলাও করে। মামলা নং- ৪৭/৮৩৮, তারিখ-২০/১০/২০২৩ ইং। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই-এ তদন্তে আছে। এছাড়া ২১০ নং দাগের পৈত্রিক ৩২ (বত্রিশ) শতাংশের কাতে আইন উদ্দিন ৮ (আট) শতাংশ জমির মালিক হয়। তার অংশের ৮ (আট) শতাংশ জমি ছেলে আলফাজ আলীকে লিখে দেয়। আলফাজ আলী পরে ওই ৮ (আট) শতাংশ জমি চাচা আব্বাছ আলীর স্ত্রী করিমন বেগমের নিকট সাকুল্যে ৩২,০০০ (বত্রিশ হাজার) টাকা দাম স্থির করে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে মতে সাকুল্য ৩২,০০০ (বত্রিশ হাজার) টাকাই বুঝে নেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই জমি কবলা দেয় নাই। এমন কি টাকাও ফেরত দেয় নাই। অপর দিকে স্থানীয় মৃত মহর আলীর ছেলে মফিজ উদ্দিন ২ (দুই) শতাংশ জমি বিক্রয় বাবদ করিমন বেগমের নিকট হতে নগদ ৬,০০০ (ছয় হাজার) টাকা নেয়। এর পরে প্রতিহিংসামূলক আলফাজ আলীও ওই ২ (দুই) শতাংশ জমিই ক্রয়ের জন্য মফিজ উদ্দিনকে কিছু টাকা দেয়। কিন্তু মফিজ উদ্দিন মারা যাওয়ায় তারা কেহই জমিও পায় নাই। টাকাও ফেরত পায় নাই।
এ সব ছাড়াও ২১২ নং দাগের পৈত্রিক ১৭ (সতের) শতাংশ জমির কাতে ইদ্রিস আলীর অংশ হতে ৪ (চার) শতাংশ জমি বড় ভাই আব্বাছ আলীর স্ত্রী করিমন বেগমের নিকট বিক্রি করে। উল্লেখ্য, ওই জমি সংলগ্ন কিছু খাস জমি রয়েছে। কিন্তু ইদ্রিস আলীর অংশের জমি বিক্রির পরও ওই খাস জমিটুকুর পুরোটাই জোরামূলে ভোগ দখল করে আসছে।
উপরিউক্ত অভিযোগসমূহ আমলে নিয়ে প্রতিপক্ষের এহেন আইন বিরোধী কর্মকাÐ গভীর পর্যালোচনা সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগি পরিবারকে সঠিক বিচার পাইতে প্রশাসনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট