কামরুল হাসান:
হালে রাজনীতির কালচারেও পীর, খলিফা, মুরিদ আর ভক্তের নাম ঢুকে পড়েছে। অথচ এ সব নাম কেবল তরিকাপন্থীদের ক্ষেত্রেই মানানসই। এটা সব এলাকায় না হলেও এখন অনেক এলাকাতেই প্রচলিত। তরিকাপন্থীদের ক্ষেত্রে গুরু ব্যক্তিকে পীর সম্বোধন করা হয়। এসব পীরের বিভিন্ন এলাকায় আবার বেশ কয়েক জন খলিফা থাকে। এ সব খলিফাদের হাত ধরেই মুরিদের সৃষ্টি। পীর, খলিফা ও মুরিদের সম্বিলিত প্রচেষ্টায় অসংখ্য ভক্তের জন্ম হয়। তেমনিভাবেই রাজনীতির বর্তমান কালচারেও পীর, খলিফা, মুরিদ আর ভক্তের নাম ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই রাজনীতির ক্ষেত্রেও জৈষ্ঠ নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিকে নেতা, গুরু বা পীর সম্বোধন করা হয়। এসব পীরেরও বিভিন্ন এলাকায় আবার বেশ কয়েক জন উপনেতা বা খলিফা থাকে। এ সব উপনেতা বা খলিফাদের হাত ধরেই কর্মী বা মুরিদের সৃষ্টি। নেতা, গুরু বা পীরের হাত ধরে উপনেতা বা খলিফার আর খলিফাদের হাত ধরেই কর্মী বা মুরিদের সৃষ্টি। তাদের সম্বিলিত প্রচেষ্টায় অসংখ্য সাধারন সদস্য বা ভক্তের জন্ম হয়। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভক্তরূপী সাধারন সদস্যারা যেমন কর্মীদের মানছে না। মুরিদরূপী কর্মীরাও তেমন মানছে না খলিফারূপী উপনেতাদের। আবার খলিফারূপী উপনেতারাও ঠিকঠাক করে মানছে না তাদের পীররূপী গুরু বা নেতাদের। বিশেষ করে ভক্তরূপী সাধারন সদস্যদের কর্ম-কান্ডই পীররূপী গুরু বা নেতাদের বেশী অস্থির করে তুলছে। যা সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন পীর সাহেবরা। সামনে বড় কঠিন সময়। তাই এখনই ভক্তরূপী সাধারন সদস্যাসহ অন্যান্যদের শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২