কামরুল হাসান:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী খাদ্যগুদামে অনাকাঙ্খিত জলাবদ্ধতা জরুরীভাবে নিরসন হোক। এ বিষয়টা এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সচেতনমহলকেও বিশেষভাবে ভাবিয়ে তুলছে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরিষাবাড়ী পৌর কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
সরিষাবাড়ী খাদ্যগুদামটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্যগুদাম। এখানে ধান, চাল ও গমসহ বিভিন্ন সরকারী খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়। গুদাম সংলগ্ন মেইন রোড এবং তৎসংলগ্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা অপেক্ষাকৃত উঁচু। অপর দিকে খাদ্যগুদামটি মেইন রোড এবং তৎসংলগ্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা অপেক্ষাকৃত নিচু। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে অনাকাঙ্খিত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ভারী বৃষ্টি হলে জমা পানি বৃদ্ধি পেয়ে কৃত্রিম বন্যা হয়। এতে একদিকে যেমন সরকারী খাদ্যশস্য রক্ষনাবেক্ষনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে প্রয়োজনে খাদ্যশস্যের বস্তা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে স্থান সংকুলানের অভাবসহ ব্যয় বৃদ্ধিও হয়। অপর দিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকসহ যান চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখন বর্ষাকাল । অর্থাৎ বৃষ্টির মেসৈুম। গত কয়েক দিনের স্বল্প বৃষ্টির পানি জমেই অনাকাঙ্খিত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, খাদ্যগুদামের পক্ষ থেকে সরিষাবাড়ী পৌরসভাকে বছরে ৫ লাখ টাকা কর পরিশোধ করা হয়। সে তুলনায় সরিষাবাড়ী পৌরসভা স্বাভাবিক নাগরিক সেবা তো দিচ্ছেই না বরং নুন্যতম সহায়ক ভ‚মিকাও পালন করছে না। সরকারী খাদ্যশস্য হলো দেশের সম্পদ। তাই অনাকাঙ্খিত জলাবদ্ধতা জরুরীভাবে নিরসন হওয়া দরকার। এ ব্যাপারটা এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সচেতনমহলকেও বিশেষভাবে ভাবিয়ে তুলছে। অতএব, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরিষাবাড়ী পৌর কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। আশা করি সরিষাবাড়ী পৌর কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের বোধোদয় হবে! অর্থাৎ এর একটা বিহিত হবে। (লেখক: কামরুল হাসান, ০১৯১৪-৭৩৫৮৪২# ডিরেক্টর, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব, ঢাকা এবং সাংবাদিক, ফিচার-কলাম লেখক ও সাবেক শিক্ষক ও এনজিও কর্মকর্তা)