সোহেল রানা সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপা’র বৈঠক থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওয়ার্ড বিএনপি’র কার্যালয় থেকে মাতাব্বর সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে আটককৃতদের ধর্ষন মামলায় ধর্ষন ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টার অপরাধে আসামী করে আটককৃত ৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের দিনমুজুর জহুরুল ইসলাম এর ১২ বছর বয়সী কিশোরী কে ফুসলিয়ে একই গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে শাহিন চলতি মাসের গত ১৪ জুন দুপুরে জোরপূবক ধর্ষন করে। এ বিষয়টি একই গ্রামের আলা উদ্দিন এর ছেলে পারভেজ (৪০) জানতে পেরে ১৭ জুন বিকাল ৩ ঘটিকায় সব্ইা কে জানিয়ে দিবে এ ভয়ভিতী দেখিয়ে পারভেজ এর বসত ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে। অপরজন একই গ্রামের নাজিম উদ্দিন এর ছেলে লাভলু মিয়া(৩২) সেও ভয়ভিতি দেখিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়।
এ বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এ বিষয়টি সমঝোতার জন্য গত রোববার (২২ জুন) রাতে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারপাড়া (করিমদহ) মোড় এলাকায় ওর্য়াড বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মাতাব্বর লিটন তালুকদার এর নেতৃত্বে ধর্ষন ঘটনা ধামা চাপার দেয়ার জন্য শতাধিক লোকজন সমঝোতার জন্য সালিশ বৈঠক বসে।এ বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিক্তিতে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দারোগা জসিম উদ্দিন সহ পুলিশ সদস্যরা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা একটি অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সাবেক ইউপি সদস্য মাতাব্বর লিটন তালুকদার ( ৫৫) , কবীর মিয়া (২৮) ও সেলিম মিয়া (২৩) কে আটক করার সময় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সাথে দরবারে থাকা মাতাব্বরদের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। আটককৃতদের সাথে নিয়ে ধর্ষনের সাথে জডিত সন্দেহে আওনা ইউনিয়নের কাওয়ামারা গ্রামের মৃত দুলালের ছেলে শাহিন মিয়া, আলাউদ্দিনের ছেলে পারভেজ এবং নাজিমুদ্দিনের ছেলে লাভলু মিয়া কে খোজাখুজি করে আইনশৃংখলাবাহিনী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ধর্ষনের শিকার কিশোরীর মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় মাতাব্বর লিটন তালুকদার সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে সরিষাবাড়ী থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৬। তারিখে-২৩-০৬-২০২৫ইং।
জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল হাসান রাশেদ জানান, ধর্ষণ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় সংশ্লিষ্ট থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধে কেউ প্রভাব খাটিয়ে আপস করানোর চেষ্টা করলে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।