কামরুল হাসান:
মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থী মো. শাকিলুজ্জামান শাকিল এখন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার দ্বার প্রান্তে পৌঁছেছে। এই মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থী ৪৪ তম বিসিএস-এর ভাইভা পরীক্ষা দিয়েছেন। যার ফলাফল স্বল্প কিছু দিনের মধ্যেই হাতে পাবেন। এছাড়া ৪৫ তম ৪৪ তম বিসিএস-এর রিটেন পরীক্ষাও দিয়েছেন। উভয় ক্ষেত্রেই কৃতকার্যের দৃঢ় আশাবাদী তিনি। বর্তমানে তিনি জনতা ব্যাংক লি: এ সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরতও। দীর্ঘ দিনের লালিত বাসনা বিসিএস ক্যাডারের স্বপ্ন পূরনের মাধ্যমে তার সাধের ছাত্র জীবনের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। তাই তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রত্যাশা করছেন।
ছোট বেলা থেকেই তিনি মেধার স্বাক্ষর রেখে চলছেন। তাই তো তিনি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে সাধারন গ্রেডে বৃত্তি লাভ করেছেন। ২০১৩ সালে মেলান্দহের ঝাউগড়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান। ২০১৫ সালে জামালপুরের সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ হতে এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পান। অতপর: তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ^ বিদ্যালয় হতে কৃষি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স (উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম শ্রেণিসহ) ডিগ্রি অর্জন করেন।
শাকিল জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চর বাণীপুকুরিয়া ইউনিয়নের রায়ের বাকাই গ্রামের মো. আছাদুজ্জামান ও সুরাইয়া বেগম দম্পত্তির প্রথম সন্তান। তার মেজ ভাইটা ঢাকা হাই কোর্টের আইনজীবি। সেজোটা অনার্স-মাস্টার্স কমপ্লিট করে ৪৭ তম বিসিএস-এর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর ছোট ভাইটা সবেমাত্র ৫ম শ্রেনিতে পড়ছে। তার বাবাও গ্র্যাজুয়েশন করা। বর্তমানে জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা/সচিব পদে কর্মরত। মা শিক্ষিত হলেও শ^শুর-শ^াশুড়ী, স্বামী-সংসার, সন্তান আর আত্মীয়-স্বজনদের খেদমতে ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই সময় চলে যাচ্ছে। শাকিলের বাবা মো. আছাদুজ্জামান এ প্রতিনিধিকে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, আজ তিনি অনেক খুশি। কারন-তার সন্তানরা সু-শিক্ষিত হতে পেরেছে। এতো আনন্দের মধ্যেও তিনি নিরানন্দ অনুভব করছেন। এর ব্যাখ্যায় জানান, আজ যদি তার বাবা মরহুম কামুল্যা মন্ডল ও মা মরহুমা ছাইরন বেগম তাদের মাঝে থাকতেন। তাহলে আজকের এ আনন্দ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ে মহানন্দের জোয়ার বইতো। আল্লাহ পাক তাদের জান্নাত নসিব করুন। সেই সাথে তিনি শাকিল ও তার ভাইদের জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করছেন।