নিজস্ব প্রতিবেদক
ইতিহাস কখনোই নিরপেক্ষ নয়। যারা মাথা নত করে অন্যায়ের কাছে, যারা আপোষ করে স্বার্থের বিনিময়ে, ইতিহাস তাদের নাম স্মরণ রাখে না—অথবা রাখলেও কলঙ্কের পৃষ্ঠায়। ইতিহাস বরাবরই মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো মানুষদের বুকে ঠাঁই দিয়েছে, যারা সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছে কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করে।
মাথা নত করা মানে কেবল নিজেকে ছোট করা নয়, তা জাতিকে ছোট করে দেয়। ইতিহাস বলে—যেখানে অন্যায়ের প্রতিবাদ থেমে যায়, সেখান থেকেই শুরু হয় দাসত্বের যুগ। যারা সময়ের দাবিকে অবজ্ঞা করে, সুবিধার মোহে আপোষ করে, তারা হয়তো কিছুদিনের জন্য টিকে থাকে, কিন্তু ইতিহাসের আলোয় তারা ম্লান হয়ে যায়।
বাংলার ইতিহাসই তার প্রমাণ। মীরজাফররা কখনো জাতির শ্রদ্ধা পায়নি, বরং ঘৃণার প্রতীক হয়ে থেকেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী। পক্ষান্তরে, সূর্য সেন, তিতুমীর, শেখ মুজিব, শহীদ নূর হোসেন—এরা মাথা নত না করার প্রতীক হয়ে আজো জ্বলজ্বল করছে।
মাথা নত না করার মানে অন্ধ প্রতিরোধ নয়, বরং নীতির পক্ষে অবিচল থাকা। ইতিহাস বদলায় এমন মানুষের হাতে যারা অন্যায়ের সামনে মাথা নত না করে, ভয় না পেয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়, গলা উঁচু করে বলে, “না”।
আজকের সময়েও এই সাহস দরকার। যখন চারপাশে জুলুম, দুর্নীতি, অন্যায়—তখন যদি আমরা চুপ থাকি, মাথা নিচু করে চলি, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। তারা জানবে, আমরা ছিলাম কাপুরুষ। ইতিহাস আমাদের ভুলে যাবে, বা ধিক্কার দেবে।
স্মরণ রাখতে হবে, মাথা নত করা সহজ, কিন্তু মাথা উঁচু করে সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোই আসল সাহস। কারণ ইতিহাস, সে তো সাহসীদের পক্ষ নেয়।
শেষ কথা:
যারা মাথা নত করে, ইতিহাস তাদের বাঁচতে দেয় না—কারণ ইতিহাস জানে, ভবিষ্যৎ নির্মাণ হয় প্রতিরোধ আর আত্মত্যাগের ভিতের উপর, না যে মাথা নিচু করার।
—
✍️ আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গণঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর
📞 ০১৭১৯০৮৫৭১৬