নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচন একটি রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে ব্যালট বাক্সে, আর তার গণনাই স্থির করে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পথচলা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—যে দেশে ভোটের দিনই সবচেয়ে অনিশ্চিত, যেখানে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়, কেন্দ্র দখল হয়, গননা হয় পক্ষপাতদুষ্টভাবে—সেই দেশে কি নির্বাচনের নামে স্রেফ এক প্রহসন চলছে?
আমরা দেখেছি আগের বহু নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই হয়েছে দিনের আলোয়, কেন্দ্র দখল হয়েছে পুলিশ পাহারার মধ্যেই, আর রাতেই ঘোষণা হয়ে গেছে বিজয়ীর নাম। সাধারণ মানুষ ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়েছে কারণ তারা জানে, তাদের ভোটের কোনো মূল্য নেই। এই বাস্তবতা থেকে প্রশ্ন জাগে—এই যে নতুন ইন্টারিম গভর্নমেন্ট আসছে, তারা কি গ্যারান্টি দিতে পারবে যে, এবার আর ব্যালট ছিনতাই হবে না?
নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। কমিশন কি আজ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে? না কি তারাও উচ্চ পর্যায়ের ইঙ্গিতের দাস? প্রশাসনের ভূমিকা কি শুধু প্রটোকলের মধ্যে সীমাবদ্ধ, না তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের রক্ষক? এই তিন স্তরের কেউ যদি নিশ্চয়তা দিতে না পারে—তাহলে এই নির্বাচন আদৌ নির্বাচন তো নয়, বরং একটি সাজানো নাটক।
সত্যিকারের নির্বাচন মানে জনগণের অংশগ্রহণ, সমান সুযোগ, অবাধ পরিবেশ এবং সঠিক ফলাফল। যদি কেউ এই মৌলিক বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে না পারে—তাহলে সেটা আর নির্বাচন নয়, সেটা একটা রাজনৈতিক ফিকশন, একটা আজগুবি গল্প।
বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো তামাশার নির্বাচন দেখতে চায় না। তারা চায় একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, যার মাধ্যমে তাদের ভোটের অধিকার পূর্ণ মর্যাদা পাবে। সেই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা সরকারের, নির্বাচন কমিশনের ও প্রশাসনের দায়িত্ব। তা যদি তারা পালন করতে না পারে—তবে সুষ্ঠু নির্বাচন বলাটা হবে শুধু গল্প নয়, মিথ্যার রাজনীতির ধারক।
আর সেই রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার সময় এখনই।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর