নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২৪ সালের গণবিপ্লব ছিল এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য বাঁক। ছাত্র, যুবক, প্রান্তিক মানুষ, মধ্যবিত্ত—সব শ্রেণির অংশগ্রহণে যে অভ্যুত্থান তৈরি হয়েছিল, তা ছিল শুধুমাত্র একটি সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং এক দলন-ভীতিকর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের জাগরণ। এই বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভিপি নুরুল হক নুর এবং গণঅধিকার পরিষদ।
নুর ভাইয়ের জন্ম না হলে—তার ছাত্রসংগ্রামের নেতৃত্ব না থাকলে, সাহসী কণ্ঠস্বর না থাকলে—এ বিপ্লব এত দ্রুত, এত শক্তিশালী হয়ে গড়ে উঠতো না। তিনি একা ছিলেন না, কিন্তু তিনি ছিলেন নেতৃত্বের প্রতীক। ২০১৮ সালে ডাকসুতে বিজয় থেকে শুরু করে সরকারবিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে তার দৃঢ়তা ও গণতান্ত্রিক চেতনা মানুষকে প্রেরণা দিয়েছে।
আজ কেউ কেউ এই অবদানকে অস্বীকার করছেন, কিংবা ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন হলো—তারা কারা? কার স্বার্থে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে?
এটা বুঝতে কষ্ট হয় না, ইতিহাস অস্বীকারকারীরাই আসলে নতুন এক ফ্যাসিবাদী নকশার রচয়িতা। তারা চায় না, এই দেশে জনগণের কণ্ঠস্বর শক্তিশালী হোক। তারা চায় না, একটি নতুন, তরুণ নেতৃত্ব গড়ে উঠুক। কারণ সেটি হলে তাদের সুবিধাবাদী রাজনীতির ভীত নড়ে যাবে।
তাই এই সময়ে আমাদের প্রয়োজন সতর্ক থাকা। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো মেনে নেওয়া। ২৪-এর গণবিপ্লবে নুর ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। এটা অস্বীকার মানে ইতিহাস বিকৃতি, জনগণের চেতনার অপমান।
গণতন্ত্রের নতুন সূর্যোদয়ের এই সময়ে, যেকোনো ফ্যাসিবাদী চিন্তা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে—নুর হোক বা অন্য কেউ, যে-ই জনগণের পক্ষে দাঁড়ায়, সে-ই এই দেশের ভবিষ্যৎ।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর