নিজস্ব প্রতিবেদক
সরিষাবাড়ি—জামালপুর জেলার একটি সম্ভাবনাময় উপজেলা। পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় জন্ম নেয়া এ জনপদে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা, এবং খাঁটি মাটির মানুষ। কিন্তু উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো—একটি নিরাপদ, অপরাধমুক্ত ও জনবান্ধব সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
আজ আমাদের অঙ্গীকার হোক, সরিষাবাড়িকে এমন একটি জায়গায় পরিণত করা যেখানে—
মানুষ রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে,
নারী ও শিশুরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে,
মাদক, চুরি-ডাকাতি ও সন্ত্রাস চিরতরে বন্ধ হয়,
এবং সকল শ্রেণির মানুষ সমান সুযোগ ও অধিকার ভোগ করে।
অপরাধ দমন ও সামাজিক সচেতনতা
অপরাধ কখনো একদিনে গড়ে ওঠে না, আবার একদিনে নির্মূলও হয় না। এর জন্য চাই সমষ্টিগত উদ্যোগ। পরিবার, স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ—সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় সচেতনতা সভা, মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন ও তরুণদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
জনবান্ধব প্রশাসন
জনগণের জন্য কাজ করে যে প্রশাসন, সেটাই প্রকৃত অর্থে “জনবান্ধব”। সরিষাবাড়িতে সরকারি-বেসরকারি সব বিভাগে নাগরিক সেবা সহজলভ্য ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। থানা, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সেবাকেন্দ্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
নিরাপত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, হটলাইন নম্বর, কমিউনিটি পুলিশিং, এবং ডিজিটাল অভিযোগ কেন্দ্র চালু করা গেলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হবে।
যুব সমাজই শক্তি
তরুণদের মাদক, জুয়া ও সহিংসতা থেকে ফিরিয়ে এনে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও উদ্যোক্তা কার্যক্রমে যুক্ত করতে পারলে তারা সমাজের বোঝা নয়, সম্পদে পরিণত হবে। সরিষাবাড়িতে একটি মডেল যুব উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত।
—
আমরা যদি সকলে মিলে এ অঙ্গীকার করি—নিরাপদ, অপরাধমুক্ত ও মানবিক এক সরিষাবাড়ি গড়ার, তবে সে দিন খুব বেশি দূরে নয় যখন সরিষাবাড়ি হবে সারা দেশের উন্নয়নের রোল মডেল।
চলুন, আজ থেকেই কাজ শুরু করি—প্রত্যেকে নিজ অবস্থান থেকে। আমাদের অঙ্গীকার হোক, “নিরাপদ, অপরাধমুক্ত, জনবান্ধব সরিষাবাড়ি গড়াই হোক আমাদের শপথ।”
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর