1. live@dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒
  2. info@www.dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নানা সমস্যায় জড়িত ডোয়াইলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সমাধানের উদ্যোগ \ কোন ভ‚মিকা নেই এটিইও’র ভালো হোক আর মন্দ হোক বাবা আমার বাবা পৃথিবীতে তাহার মত আর আছে কেবা’ নরসিংদী জেলা মানবাধিকার কমিশন এর উদ্যোগে নৌকা ভ্রমণ। কোরবানি : আছে যে নানা রকম! শাহজাদপুরে যমুনার ভাঙ্গণে গৃহহীনদের পূনর্বাসনের দাবীতে মানববন্ধন জামালপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার নরসিংদীর শিবপুরে পরিবহন থেকে চুরি ও ছিনতাই করে পালানোর সময় জনতার হাতে তিন মহিলা চুর আটক। সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের প্রয়াণ দিবস সরিষাবাড়ী উপজেলা যুব ইউনিয়নের কমিটি গঠন এই বৈষম্য মূলক প্রশাসন দিয়ে কি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব?

দুবাই হাসপাতাল : সব সমস্যা দূর করে সঠিক পথে চলুক আর কাউকে যেন আরো অসুস্থ বা লাশ হয়ে ফিরতে না হয়

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

কামরুল হাসান:

জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের দিগপাইত উপ-শহরের দুবাই হাসপাতাল এখন কসাইখানাতে পরিনত হয়েছে। পরিচালকবৃন্দের নেই পূর্ব অভিজ্ঞতা। নেই কোন তেমন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এখানে প্রশিক্ষিত ও সনদধারী স্টাফের সংখ্যা অতি নগন্য। এ সব ছাড়াও সচেতন মহল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরম অবহেলার অভিযোগ তুলছে। সর্বোপরি ভুল চিকিৎসায় ২৬ মে সোমবার ভোরে রিতু নামের এক প্রসূতির মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাই এ সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা বিভাগ বা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের যথাযথ ভ‚মিকা রাখতে হবে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের পশ্চিম পাড় দিঘুলী (বড়ভিটা) গ্রামের মৃত মাজম আলীর ছেলে রনি মিয়া বর্তমানে জামালপুর ই-জোনে চাকরী করে। আড়াই বছর আগে সে একই উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের সুলতান নগর গ্রামের হাশরুজ্জামান ছুতুর মেয়ে শারমিন আক্তার রিতুকে ভালোবেসে বিয়ে করে। বিয়ের বছর দেড়েক পর এ দম্পত্তি প্রথম বাবা-মা হতে যাচ্ছে মর্মে ইঙ্গিত পায়। হিসেব মতে চলতি বছরের মে মাসের শেষার্ধে তাদের সন্তান ভ‚মিষ্ঠ হওয়ার কথা। গত ২৫ মে রোববার সকালে রিতুর প্রসব ব্যথা ওঠে। তার আপন জনেরা তাকে জামালপুরে নেয়ার জন্য রওনা দেয়। তারা নারিকেলী পর্যন্ত গেলে দুবাই হাসপাতালের দালাল রোজিনা আক্তার রোজি তাদেরকে নানা সুবিধার কথা বলে দুবাই হাসপাতালে ফিরে আসতে উদ্বুদ্ধ করে। দুপুরেই তারা দুবাই হাসপাতালে ফিরে আসে। এই রোজির পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তিনি হলেন- দিগপাইতে অবস্থিত শাহীন স্কুলের শিক্ষিকা ও দিগপাইত অটো স্ট্যান্ডের একটু উত্তর পাশে অবস্থিত মা ড্রাগ হাউজের মালিক সোহেল রানার স্ত্রী। এ সব বিষয় জানিয়েছেন, মৃত প্রসূতি রিতুর মা রিনা বেগমসহ তার স্বজনেরা। তাই দেশের অপার সম্ভাবনাময় তরুন লেখিকা মৌলি আজাদের বাবা প্রগতিশীল লেখক মরহুম হুমায়ুন আজাদের একটি বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে গেল-‘দালালি ছাড়া এ ব-দ্বীপে ফুলও ফোটে না, মেঘও নামে না’।
অনেক যোগাযোগ করে ডাক্তার এন বিকেলে রিতুকে সিজার করানো হয়। রিতু একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান প্রসব করে। হয়তো রিতুও তখন মেয়ের মঙ্গল কামনায় কবি ভারত চন্দ্র রায় গুণাকরের কবিতার ভায়ায় বলছিল-‘ আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’।
কিন্তু পরদিন ভোরে রিতু হাসপাতালেই মারা যায়। ততক্ষনে হয়তো রিতুর মা’র গলায় আটকে গেছে- গানের সেই কথাগুলো-‘ভাবনা আমার আহত পাখির মত/গভীর ধূলায় লুটাবে/সাত রঙে রাঙা স্বপ্ন বিহঙ্গ/সহসা পাখনা গুটাবে/এমন তো কথা ছিল না\ আজ ভাবুক কবি শুকান্ত নেই। তাহলে কে রাখবে- নব-জাতককে দেয়া তার সেই অঙ্গিকার? ‘এ বিশ^কে আমি বাসযোগ্য করে যাব/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার’। এর প্রকৃত কারন এখনও ধোঁয়াশার মধ্যেই রয়ে গেছে। কারন-বিরতুর মা বরছেন, ডাক্তার মানে চিকিৎসক আসার আগে অর্থাৎ দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রিতু ভীষণ ব্যথার কষ্টে আর যন্ত্রনায় ছটফট করেছিল। ঠিক বিকেল ৫টার দিকেই অপারেশন হয়। অপারেশন শেষ করে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে ডাক্তার চলে যায়। রাতে রিতুর কক্ষে একমাত্র জান্নাত নামের একজন নার্স ছিল। আর পুরো হাসপাতালের দায়িত্বে শুধু পরিচালক হারুন সাহেবই ছিল। ভোরে যখন তিনি (রিনা) রিতুর খোঁজ নিতে যান, তখন পরিচালক (হারুন) নার্স জান্নাতকে ডেকে সজাগ করে। তারপর রিতুকে ডাকতে থাকে রিতু ক্ষীনস্বরে জবাব দেয়। ও দিকে নার্স রিতুকে ধরে উঠায়ে দাঁড় করাতে চেষ্টা করতেই হাত থেকে ধপাস শব্দে নিচে পড়ে যায়। ‘তারপর আর নাই’। এরপর ‘যা হবার তাই হোক/ নেই কোন অভিযোগ/ পাষাণের হিয়া তুমি সেধ না’। কিন্তু প্রবাদের কথা-‘ধাইন্যার যায় ধান, নিধাইন্যার যায় চিটা আর পাতান’। অন্যভাবে-‘যার যায়, একমাত্র সে-ই বুঝে’। তবে সদ্য ভ‚মিষ্ঠ মা হারা এ নব-জাতকটিকে কে লালন-পালন করবে? এ নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়ে অভিভাবকরা। অবশেষে নব-জাতক কন্যা শিশুটিকে তার জেঠা বোরহান আলী ও জেঠি মনোয়ারা বেগম লালন-পালনের দায়িত্ব নেয়। জেঠা-জেঠির কোলে ঠাঁই নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটালো নব-জাতকটি।
এ বিষয়ে রিতুর মা রিনা বেগমের অভিযোগ-টাকা নেবার বেলায় তারা কতই না আদর আর যতœ দেখায়। তারপর আর তাদের সে কথা মনে থাকে না। রিনা বেগম দুঃখ করে বলেন, পরিচালক হারুনের মা তার আপন মামাতো বোন। আর তিনি হলেন পরিচালক হারুনের মা’র আপন ফুপাতো বোন। সেই হিসেবে রিতু পরিচালক হারুনের খালাতো বোন। হারুন সে সম্পর্কটার কথাও ভুলে গেছে। তা নাহলে অপারেশন করানো রোগীর পাশে কোন সনদধারী ডাক্তার নাই। নাই কোন প্রশিক্ষিত নার্স। মধ্যরাতে রিতুর খিঁচুনী ওঠে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নেয় নি তারা। আর নেবই বা কে? প্রসূতি রিতু মারা যাওয়ার প্রকুত কারন জানতে প্রথমে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হকের ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি। তারপর পরিচালক হারুন অর রশিদের ফোনে কল দিলে তিনিও রিসিভ করেন নি। শেষে এক পরিচালকের (নাম অপ্রকাশ্য) সাথে কথা হয়- তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগী মারা যাবে এটাই স্বাভাবিক। তিনি এই বুঝালেন যে, মানুষের রোগ হলেই হাসপাতালে আসে। তারপর চিকাৎসার মাধ্যমে কেউ ভালো বা সুস্থ হয়। আবার কেউ ভালো বা সুস্থ না হয়ে মারা যায়। তিনি আরও বলেন, তবে তাদের বেশি ঝামেলায় ফেলেছে-কিছু নেতা-কর্মী আর সাংবাদিকরা। সিভিল সার্জন এসে পরিস্থিতি সামলাতে আপাতত অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি ঠিক হলে তিনি আবার খুলেও দিবেন। এক কর্মচারী বলেন ভিন্ন কথা- তিনি বলেন, রোগীর অপারেশন হয়েছে মধ্যরাত ১টায়। সাধারনত ৬ঘন্টা পর্যন্ত রোগীর খিঁচুনীসহ বিভিন্ন রিস্ক থাকে। রাতে শাহীন নামের এক মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ও প্রশিক্ষন প্রাপ্ত নার্স জান্নাত ছিলেন।
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন পোগলদীঘা ইউনিয়নের বগারপাড় গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী পারভীন বেগম ৩-৪ বছর আগে দিগপাইতের দুবাই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসে। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে রোগ নির্ণয় করে বলেন, রোগীর পেটে টিউমার হয়েছে। তাড়াতাড়ি অপারেশন করে তা বের করতে হবে। নতুবা রোগীর বড় ধরনের ক্ষতি হবে। অমনি দর-দাম ঠিকের পর অপারেশন করে রোগীকে দ্রæত বিদায় দিয়ে দেয়। রোগী বাড়ী গেলে যন্ত্রনা আর অসহ্য কষ্টে চিৎকার করতে থাকে। পরে আপন জনেরা ময়মনসিংহের একটি নামকরা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে বুঝতে পারেন, রোগীর পেটের টিউমার এখনো পেটেই রয়ে গেছে। তাই পুনরায় অপারেশন করে রোগীকে সুস্থ করেন চিকিৎসক। পরে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে যে, দুবাই হাসপাতালের চিকিৎসক টিউমারটি অপারেশনের মাধ্যমে অপসারন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাড়াতাড়ি সেলাই দিয়ে রোগীকে বিদায় করে দিয়েছেন।
এর কিছু দিন আগের কথা-গোপীনাথপুরের এক রোগী আসে তার পেটের সন্তানের অবস্থা জানার জন্য। এই হাসপাতালের ডাক্তার ওই রোগীর পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে বলেন, রোগীর পেটেবাচ্চা নেই শুধু টিউমার রয়েছে। এ কথা শুনে রোগী ও তার আপন জনদের সন্দেহ হয়। তাই তারা অন্য দুইটি হাসপাতালে গিয়ে আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে রোগীর পেটে বাচ্চাই আছে। বাচ্চা সুস্থ আছে। পরে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে যে, দুবাই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
কয়েক মাস আগে সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন মহাদান ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের সুমন নামের এক রোগী চিকিৎসা করাতে দুবাই হাসপাতালে যায়। চিকিৎসক পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে বলেন, রোগীর লিভারে পানি জমেছে। তাই এক্ষনি পানি বের করতে হবে। তা না হলে রোগীর লিভার নষ্ট হয়ে যাবে। দর-দাম ঠিকের পর চিকিৎসক কয়েক বার বড় মোটা সুঁই ঢুকিয়ে পানি বের করার ব্যর্থ চেষ্টা করে। পানিতো বের করতে পারেন-ই নাই। বরং বারংবার সুঁই দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আরও লিভারের বারোটা বাজিয়েছে। পরে রোগীর আপন জনেরা অন্যত্র নিয়ে সু-চিকিৎসা করান।
জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের দিগপাইত পূর্ব পাড়ার হরি’র ছেলে উজ্জল (ট্রাক হেলপার) জানান, গেল রমজানের প্রথম রোজার ভোররাতে তাদের ট্রাকটি মধুপুরের গোলাবাড়ী ব্রীজে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে চালক গাড়িতে মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গাড়িতেই আটকে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু চাপ খেয়ে তার অন্ডকোষের ঝোলা ফেটে বিঁচি বেরিয়ে পড়ে। সে সাহস করে এক হাতে বিঁচি ধরেই দুবাই হাসপাতালে আসে। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, চিকিৎসক ওই রোগীর প্রয়োজনীয় সেলাই দিতে পারে নাই । বরং বার বার রক্ত মুছতে গিয়ে আরও রক্ত প্রবাহ সচল করে। আর ব্যর্থ চেষ্টা করে রোগীকে কষ্ট দিয়ে ক্ষতি করে। পরে সে দ্রæত অন্যত্র গিয়ে সেলাই দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুবাই হাসপাতালের মালিকরা টাকার লোভে পড়েছে। তাই যেটাও পারবে না সেটাও পারবে বলে ভুল চিকিৎসা দিচ্ছে। এতে সাধারন রোগীরা একদিকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অপর দিকে তেমন স্বাস্থ্যগতভাবে বা শারিরীকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয়রা আরও বানান, কয়েক বছর আগে দুবাই হাসপাতালের পরিচালকরা নিজেদের স্বার্থে এক মেডিকেল এসিস্ট্যান্টকে অনৈতিক কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। ওই মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট তা প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে হাসপাতালের পরিচালকরা তাকে অপমান করে। এ অপমানের দুঃখ ও কষ্ট তাকে এতোটাই মর্মাহত করে যে, তাই সে ওই রাতেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
গানের কথায় বলতে গেলে-‘মওলা তোমার দুনিয়ায় মানুষ চেনা বড় দায়/ আজ স্বার্থে সবাই অন্ধ কেন হয়ে যায়’?
রোগীর স্বজনেরা জানান, দুবাই হাসপাতালে তেমন ভালো মানের কোন ডাক্তার, নার্স ও ল্যাব এসিস্ট্যান্ট নেই। নেই কোন উন্নত মানের যন্ত্রপাতিসহ সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা। এখানের পরিচালক থেকে স্টাফ পর্যন্ত সবাই যেন একেক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। কোন বিষয়ে জানতে তাদের কাছে গেলে- তারা সবাই রোগী আটকানোর জন্য এই-সেই বলে ফ্রি-তে গাড়ি গাড়ি পরামর্শ দিবেন।
গানের ভাষায় বলতে গেলে-‘যার যেমন অভিনয়/তার তেমন পরিচয়’।
এছাড়া জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন মহাদান ইউনিয়নের করগ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে আলেপ আলী (২৯) বেশ কিছু দিন আগে থেকেই পিত্তে পাথর জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অপারেশন করে পাথর বের তরতে হবে। সে অনুযায়ী টাকা পয়সা জোগাড় করে গত ৬মে জেলা শহরের নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা মোড়ের হযরত শাহ জামাল (রহঃ) হাসপাতালে অপারেশন করাতে যায়। তাকে অপারেশনও করানো হয়। পরের দিন থেকে রোগীর বুক ও পেট ফুলে-ফেপে ঢোল হতে থাকে। রোগী প্র¯্রাব করতে পারে না। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বুঝতে পারেন যে, আগে থেকেই রোগীর ডায়াবেটিস রোগ আছে। তাই কাটা ঘা জোড়া না লেগে বা না শুকিয়ে বরং সমস্যা হচ্ছে। কি আর করা। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেকায়দায় পড়ে ৯মে ওই রোগীকে দ্রæত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকায় ১৫ মে তাকে ঢাকার ধানমÐিস্থ একটি হাসপালে ভর্তি করে রোগীর আপন জনেরা। সে সেখানের আইসিইউ-তে আছে। তাই তো প্রবাদে আছে-‘যার কাজ তার সাজে, অন্য লোকের লাঠিত বাজে’।
এ হাসপাতালের বিষয়ে সুশীল সমাজের কয়েকটি দাবিÑএক. এ রকম একটি হাসপাতাল চালাতে যে সকল নিয়ম-নীতি মানতে হয়, তা মেনে চলছে কি না? তা খতিয়ে দেখতে হবে। দুই. যে সকল বিষয়ে সরকারের অনুমোদন বা রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হয়। তা আছে কি না? খতিয়ে দেখে নিশ্চিত করতে হবে। তিন. প্রয়োজনীয় সংখ্যক মানসম্মত লোকবল, যন্ত্রপাতিসহ পরিবেশগত বিষয়ের দিক ঠিক আছে কি না? তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। চার. সঠিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করতে হবে। পাঁচ. রোগীদের সাথে প্রতারানামূলক আচরন বন্ধ করতে হবে।
সুধি মহলের আক্ষেপ, ‘সাধারন রোগীরা সুস্থ্য হতে এসে আরো বেশি অসুস্থ্য হচ্ছে, মরছেও’। সুতরাং, এটা বন্ধ হওয়া জরুরি। মহলটি এই অভিমত প্রকাশ করেন যে, কারোর কোন পেশা বন্ধ করা যাবে না। তবে, অবশ্যই সঠিক নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করতে হবে। একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দুর্নীতি বিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থার এক প্রতিনিধি জানান, এ বিষয়ে সংবিধান বলছে-‘কারো বৃত্তি বা পেশায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না’। সংবিধান আবার এও বলছে যে, প্রত্যেকের সু-চিকিৎসা তথা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ বা সঠিক চিকিৎসা লাভের অধিকার রয়েছে’। এ সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা বিভাগ বা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের যথাযথ ভ‚মিকা রাখতে হবে।
তবে, সচেতন মহলের মন্তব্য বা প্রশ্ন-‘শর্ষের ভুত তাড়াবে কে? অতএব, সাধু সাবধান। (লেখক: মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, ফিচার ও কলাম লেখক- ০১৯১৪-৭৩৫৮৪২)

কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট