নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা পরিষদ পর্যন্ত এখন যেন এক ‘সুবর্ণ লুটপাটের মঞ্চ’। সরকারি বরাদ্দকৃত টিআর (টেস্ট রিলিফ), কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য), কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের আগেই বিল উঠছে ব্যাংক থেকে। রাস্তা বানানোর কথা বলা হচ্ছে যেই এলাকায় আজও কাদায় পা ডোবে, সেতু দেখানো হচ্ছে সেই খালে যার অস্তিত্বই নেই।
আর এই লুটপাটের সবচেয়ে করুণ দিকটি হচ্ছে — যাঁরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরতেন, সেই সাংবাদিকরাও এখন নানা কারণে নীরব। কেউ কেউ ক্ষমতাধরদের ম্যানেজ হয়ে গেছেন, বাকিরা ভীত— চাকরি হারানোর ভয়ে, মামলা-হামলার ভয়ে বা সরাসরি প্রাণহানির আশঙ্কায়। মিডিয়াতে এখন ‘গেটকিপিং’ চলছে—সত্যের মুখে তালা, বিজ্ঞাপন ও স্বার্থের চাবি দিয়ে।
সংবিধান সংস্কারের দাবিও আজ তামাশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারবার পরিবর্তনের আশ্বাস এলেও বাস্তবে দেখা যায়, ক্ষমতার চর্চা সীমাবদ্ধ কয়েকজনের হাতে। গণতন্ত্রের বাহ্যিক রূপ বজায় থাকলেও ভেতরে ভেতরে বিকাশ ঘটছে এক নব্য-ফ্যাসিবাদের।
একটা রাষ্ট্র যখন তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়, জনগণের কণ্ঠরোধ করে— তখন সে রাষ্ট্র আর গণতান্ত্রিক থাকে না। ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয়— এমন পরিস্থিতি টিকে থাকে না বেশি দিন। হয় জনতার জাগরণ ঘটে, না হয় রাষ্ট্র ফ্যাসিস্ট চক্রের হাতে ধ্বংসের দিকে এগোয়।
বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এখন প্রয়োজন বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিরোধ, বিবেকবান মানুষের সম্মিলিত সোচ্চারতা। সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে হবে— সাংবাদিককে, নাগরিককে, তরুণ প্রজন্মকে। তা না হলে, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
—
শেষ কথা:
স্বাধীনতা শুধু শব্দ নয়— এটা দায়িত্ব। দায়িত্ব রাষ্ট্রের, নাগরিকের এবং মিডিয়ার। আজ যদি কেউ মুখ না খোলে, কাল আর কেউ কথা বলার সুযোগ পাবে না।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর