কামরুল হসান:
জীবন যতক্ষন, জীবও ততক্ষন! কোন জীব যতক্ষন পর্যন্ত বেঁচে থাকে, ততক্ষন পর্যন্ত সময়কালই তার জীবন। জীবন কখনও সংক্ষেপ। আবার কখনও ব্যাপক। জীবনকে পুরোপুরি উপভোগ করতে হলে অবশ্যই জীবনের মানে বুঝতে হবে। জীবনের প্রতি দরদ বা মমত্ববোধ থাকতে হবে। সে মোতাবেক যেমন প্রস্তুতি নিতে হবে। আবার সে অনুযায়ী তেমন প্রস্তুতও থাকতে হবে। ভালো কিছু চাইতে গেলে বা শুধু আশা করলেই হবেনা। অবশ্যই তার পূর্ব শর্তও পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ ভালো কিছু পাওয়ার মত উপযোগী হতে হবে। মন-মানসিকতাও থাকতে হবে। নচেৎ সর্বাপেক্ষা ভালো কিছু পেয়েও তা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। অর্থাৎ হাত ছাড়া হয়ে যাবে। এটাই চরম সত্য! এটাই বাস্তবতা। ‘ লাইভ ইজ নট এ বেড অব রোজেজ। ইট ইজ ট্রাগল। সার্ভাইবাল অব দ্যা ফিটেস্ট।’ আসলে জীবন বড়ই কঠিন। এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। যেন ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধক্ষেত্র। আর এই জীবন যুদ্ধে যে জয়ী হতে পেরেছে, অনায়াসে সে তার লক্ষ্যেও পৌছেছে। একদিকে সে যেমন পাথরসম এক কঠিন হিমাচল! আবার অন্যদিকে ঠিক তেমনি সে মমসম সুবিশাল মনেরও অধিকারী। অবিচল আর অনড় তার সিদ্ধান্তে। সুদৃঢ় বড়ই মজবুত তার মন, অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে। সর্বদা সে প্রস্তুত! সে জানে কিভাবে কি করতে হয়। এ সব তার অভিজ্ঞতার ফল। বিভিন্ন সময়ে জীবন নামক পরীক্ষার ক্ষেত্রে কঠিন সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে এক একটি উপায় তাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে। যা অন্য উপায়ে এতোটা সম্ভব নয়। আসলে সকল পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়াটাই মুখ্য বিষয়। অন্যথায় সব বেকার। জীবন একটাই, তাই এর যতœ নেয়াটা অতি জরুরী। বিশেষ করে-অবিনশ^র এ পৃথিবীতে এমন কিছু কীর্তি-কর্ম বা অবদান রেখে যাওয়া চাই। যা মানুষের মনে যুগ যুগ ধরে রয়ে যায়। কবির ভাষায়- ‘এমন জীবন করিও গঠন, মরিলে তুমি কাঁদিবে ভ‚বন।’ কবি আরও বলেন-‘লোকের ভালো লোকের মন্দ লোকের সাথেই চলে যায়, লোকের যত কীর্তি জগতেই থেকে যায়।’ (লেখক : ডিরেক্টর-বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব, ঢাকা। মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, ফিচার ও কলাম লেখক এবং সাবেক শিক্ষক ও এনজিও কর্মকর্তা,)