নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ যারা দেশ চালানোর দায়িত্বে আছেন, তাদের অনেকেই হয়তো ভাবছেন—নৈতিক রাজনীতি? এটা কি কোনো রূপকথার গল্প? দুর্নীতিতে নিমজ্জিত এই ব্যবস্থায় কেউ যদি বলে ‘আমরা দেশে নৈতিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবো’, তারা হয়তো ঠাট্টার পাত্র হয়ে ওঠে। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা হলো, পরিবর্তনের শুরুটা সবসময়ই হাস্যকর বলেই ধরা হয়—শেষটা হয় বিস্ময়কর।
আমরা বিশ্বাস করি, নৈতিক রাজনীতি কোনো অলীক কল্পনা নয়। এটি বাস্তব, এটি সম্ভব, এবং এটি অবশ্যম্ভাবী। আজ যারা জনগণের রক্ত-ঘামে অর্জিত সম্পদ লুটে নিচ্ছেন, তারা হয়তো ভাবছেন—এই ব্যবস্থায় তাদের ঠেকানোর কেউ নেই। কিন্তু তারা ভুলে গেছেন, সময় একদিন হিসাব চায়। আজকের প্রতিটি দুর্নীতির লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়ের যে রেকর্ড তৈরি হচ্ছে, তা একদিন তাদেরই গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে।
আমরা যারা নৈতিকতার কথা বলি, তারা হয়তো এখন সংখ্যায় কম, কিন্তু আমাদের ভিত শক্ত। আমরা ভয় পাই না, কারণ আমরা জানি—সত্য ধ্বংস হয় না, ন্যায়ের মৃত্যু নেই।
দেশের সাধারণ মানুষ আজ জেগে উঠছে। তরুণ প্রজন্ম প্রশ্ন করছে, সোচ্চার হচ্ছে। তারা আর অন্ধভাবে বিশ্বাস করে না, তারা তথ্য খোঁজে, বিচার চায়, জবাবদিহিতা দাবি করে। এই তরুণরাই একদিন রাজপথে দাঁড়াবে, হাতে থাকবে স্লোগান: ‘নৈতিক রাজনীতি চাই, দুর্নীতিবাজদের বিদায় চাই।’
আমরা স্বপ্ন দেখি, একটি বাংলাদেশ, যেখানে রাজনীতি হবে সেবা, নেতৃত্ব হবে আমানত, আর ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত একটি পবিত্র দায়িত্ব।
এই স্বপ্ন আজকে রূপকথা মনে হলেও, কাল তা হবে বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। এই যাত্রা শুরু হয়েছে। এবং এই যাত্রা আর থামবে না।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর