জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের মেলান্দহে প্রসূতি মা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময়ও বেঁধে দেয়া হয়।
গতরাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ। ওই প্রসূতি মেলান্দহ পৌরসভার পশ্চিম জালালপুর এলাকার ইব্রাহীমের স্ত্রী।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় ,প্রসূতি ভাবনা আক্তার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। দায়িত্বরত নার্স নারগিস বেগম তাকে ডেলিভারি ওটিতে নিয়ে ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেন। টানা ১ ঘন্টা চেষ্টার পর প্রসবে বিঘ্ন ঘটার এক পর্যায়ে মা ও
নবজাতক মারা গেলে হইচই পড়ে যায়। মৃত্যুর খবরে স্বজনদের কান্নাকাটিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। স্বজনদের অভিযোগ, ডাক্তারের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্ব চিকিৎসক ডা. ফারহানা হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন। রোগীর মৃত্যুর পর ডা. ফারহানা ও মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গাজী রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
নিহতের স্বামী ইব্রাহীম জানান,ওটিতে নেওয়ার পর আমার স্ত্রী পানি খেতে চেয়েছিলো,কিন্তু পানি খেতে দেয়নি।ছটফট করলেও বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ রেখে ডেলিভারির চেষ্টা করেছে। তাদের অবহেলায় মারা গেছে। আমি দায়ীদের
বিচার চাচ্ছি।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুন্নাহার সানি জানান, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমি তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব। তদন্তে সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, যতটুকু জেনেছি, প্রসূতিকে বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে ডেলিভারির চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে হাসপাতালে আনা হয়। ওই প্রসূতির সিজারের প্রয়োজন ছিলো। স্বজনদের আপত্তির মুখে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করা হয়। মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. সানজিদা তাবাসসুমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদনের উপর ফলাফল নির্ভর করবে।