নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আজকাল একটি অদ্ভুত বাস্তবতা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। একদিকে তৃণমূলের সংগ্রামী কর্মীরা বুক চিতিয়ে নেমে পড়েছে নৈতিক রাজনীতির লড়াইয়ে, অন্যদিকে রাঘব বোয়ালদের তালিকায় যোগ দিচ্ছেন নামী-দামী নেতারা, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সুবিধাবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতিতে অভ্যস্ত।
তৃণমূল কর্মীরা আজ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্নীতি, বৈষম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের চোখে স্বপ্ন—একটা ন্যায়ের সমাজ গড়া, যেখানে নেতা হওয়া মানে সেবা করা, ক্ষমতা ভোগ নয়। অথচ সেই সময়ে, রাজনীতির উপরের স্তরে আমরা দেখছি ভিন্ন এক দৃশ্যপট। সাদা পাঞ্জাবি, দামি গাড়ি আর চটুল স্লোগানের আড়ালে অনেক ‘নেতা’ নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে বসেছেন সুবিধার রাজনীতিতে।
বড় বড় নামধারী অনেকেই এখন নির্লজ্জভাবে ভিড় করছেন সেই রাঘব বোয়ালদের দলে—যারা অর্থ, পেশি আর প্রতারণার জোরে রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করেছে। তাদের জন্য রাজনীতি মানে একদল ধনিকের ক্লাব, যেখানে ত্যাগ নয়, লভ্যাংশের হিসাব চলে।
প্রশ্ন হলো, এই অসম লড়াইয়ে জয় হবে কার? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে সেই রাজনীতি, যার শিকড় থাকে জনগণের হৃদয়ে। তাই তৃণমূলের স্বপ্ন আজ ক্ষীণ হলেও নিঃশেষ হয়নি। নৈতিকতার আলো একবার জ্বলে উঠলে, তা নিভিয়ে রাখা কঠিন।
আজ সময় এসেছে আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভাবার—আমরা কার পাশে দাঁড়াব? ত্যাগী তৃণমূল কর্মীদের, না কি সুবিধাবাদী রাঘব বোয়ালদের?
আল আমিন মিলু