নিজস্ব প্রতিবেদক
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
মাদক—এই শব্দটি আজ আর নতুন কিছু নয়। কিন্তু এর ছোবল যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা সরিষাবাড়ির প্রতিটি সচেতন নাগরিক হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। এক সময় যে সরিষাবাড়ি ছিল মেধাবী, প্রতিশ্রুতিশীল ও পরিশ্রমী তরুণদের জনপদ, আজ সেখানে অন্ধকার গ্রাস করছে। মাদকের ছায়ায় হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন, সম্ভাবনা আর ভবিষ্যৎ।
ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, আইস, নেশাজাত ট্যাবলেট—নানারকম মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হয়ে উঠেছে এই অঞ্চলে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বেকার যুবক—কেউই এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। প্রথমে বন্ধুদের প্ররোচনা, পরে নেশার জালে আটকে গিয়ে একজন যুবক হয়ে পড়ে অপরাধ জগতের সহযাত্রী। চুরি, ছিনতাই, পরিবারের প্রতি অবহেলা এমনকি আত্মহত্যার মতো ভয়ংকর পরিণতির দিকেও ঠেলে দিচ্ছে এই মাদক।
প্রশাসনের নজরদারির অভাব, সমাজের উদাসীনতা, এবং কর্মসংস্থানের সংকট মাদক বিস্তারে অনুঘটকের মতো কাজ করছে। গ্রামগঞ্জের নিরীহ পরিবারগুলো আজ সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। কোথাও যেন কেউ নেই, থেমে নেই এই ধ্বংসযাত্রা।
এখনই সময় সচেতন হওয়ার। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগেই গড়ে তুলতে হবে একটি মাদকমুক্ত সমাজ।
– স্কুল-কলেজে মাদকবিরোধী সচেতনতা বাড়াতে হবে।
– খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং কারিগরি শিক্ষায় তরুণদের যুক্ত করতে হবে।
– বেকার যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা সহায়তা ও প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে।
– মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা যদি এখনই না জেগে উঠি, তাহলে একদিন হয়তো বলতে হবে—“আমরা দেখেছি, কিন্তু কিছু করিনি।”
সরিষাবাড়ির ভবিষ্যৎ বাঁচাতে হলে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। আর এই উদ্যোগ নিতে হবে আমাদের—আপনাকেও, আমাকেও, একজন সচেতন নাগরিকহিসেবে সরিষাবাড়ি বাসীকে।