নিজস্ব প্রতিবেদক
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক, গণঅধিকার পরিষদ, সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা, জামালপুর
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সময় ছাত্র ও তরুণদের ভূমিকাই ছিল নেতৃত্বের মূল ভিত্তি। আজকের দিনে সেই ঐতিহ্য কিছুটা ধূলিসাৎ হলেও আশার আলো হিসেবে উদয় হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এই নবীন রাজনৈতিক দলটি বর্তমান প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে অল্প সময়েই।
২০২১ সালে গঠিত এই দলের নেতৃত্বে আছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, যিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি এবং তার সহযোদ্ধারা বুঝেছিলেন, একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য দরকার নতুন রাজনৈতিক ধারার—যেখানে থাকবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের সত্যিকারের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার।
গণঅধিকার পরিষদ কোনো ধামাচাপা দেওয়া রাজনীতি করে না। তারা সরকারের ভুল নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলে, রাজপথে আন্দোলন করে, এবং তরুণদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা—এই সব ইস্যুতে দলটির অবস্থান স্পষ্ট ও শক্ত।
বর্তমান তরুণ সমাজ অনেকটাই রাজনীতি বিমুখ। তাদের এই বিমুখতা দূর করতে হলে দরকার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা তাদের কথা বলে, তাদের সমস্যা বোঝে এবং পরিবর্তনের জন্য লড়াই করে। গণঅধিকার পরিষদ সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ দলের প্রতি তরুণদের আকর্ষণ বাড়ছে কারণ তারা দেখছে, এখানে রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়—এটা হলো ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম।
এখনও গণঅধিকার পরিষদ বড় নির্বাচনী জয় পায়নি, তবে রাজনৈতিক আদর্শ ও তরুণদের জাগরণের দিক থেকে তারা সফল। দলটি যদি আদর্শচ্যুতি না ঘটিয়ে সংগঠিতভাবে কাজ করে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে এটি একটি বড় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
আমরা যারা মফস্বল পর্যায়ে কাজ করছি, তারা দেখতে পাচ্ছি—মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, এবং তারা নতুন নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে। সেই নেতৃত্বের সম্ভাবনা গণঅধিকার পরিষদেই নিহিত।