1. live@dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒
  2. info@www.dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 :
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মোঃ বিল্লাল হোসেন সরকার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। প্রবাসীদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি: সম্মান নয় কেন অবহেলা? প্রযুক্তির যুগে অনলাইন অভিযোগ ও স্বচ্ছ তদন্ত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা: একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ প্রশাসন, মিডিয়া ও আদর্শবান নেতা: তিনজন সৎ হলেই দুর্নীতির ৯০% দূর করা সম্ভব পিংনা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। কারন খতিয়ে দেখতে হবে- টিসিবি’র পণ্য নিচ্ছেনা দিগপাইতের উপকারভোগীরা মা : পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান মিথ্যাবাদী! ৫ কেজি গাঁজাসহ ব্যবসায়ী আব্দুল আলী গ্রেফতার ঈশ্বরদী পৌর ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সমন্বয়ক ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আশা

রদ : হলে নয়, ক্লাসে দেখান

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

কামরুল হাসান :
চলতি মওসুমে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার দক্ষিন জামালপুরের ২০৫, ২০৭, ২১০, ২১৩ ও ৮৬৪ কেন্দ্রের খোঁজ নিয়ে ভালোভাবেই বুঝেছি যে, কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ এক শ্রেণির ঠিকাদারদের ব্যবসা জম জমাট। তবে কোন কেন্দ্রে একটু বেশি আবার কোন কেন্দ্রে একটু কম। অন্তত: এ বিষয়ে কোন কেন্দ্রেরই দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলফ করে বলতে পারবে না যে, তার কেন্দ্র ভেজাল বা দূষমুক্ত। অর্থাৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা ভালো ফলাফল পাইয়ে দেয়ার ব্যবসা করেন। সহজভাবে বলতে গেলে, ভালো ফলাফল পাইয়ে দেয়ার ঠিকাদারী করেন। ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত গণিত বিষয়ের পরীক্ষার দিন প্রশাসন বিশেষ কারিশমা দেখিয়ে তাদের ক্ষমতার জানান দিয়েছে। এতে শিক্ষানুরাগী ও সচেতন মহল অনেকটাই খুশি হয়েছে। কিন্তু খুশি হতে পারেনি ঠিকাদাররা। কারন প্রশাসনের কারিশমায় তাদের ব্যবসা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবুও তাদের তৎপরতা কিন্তু থেমে নেই। তারা দু:সাহসিক এক পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের উদ্দেশ্য ঠিকই হাসিল করেছে। তা নাহলে যে, তাদের কাছে আসা সেবা প্রত্যাশিরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। তারা যে একেবারে মাঠে মারা পড়বে। ১০, ১৫, ১৭ ও ২১ এপ্রিল ২০৭ নং কেন্দ্রের, ২২ এপ্রিল ২১০ নং কেন্দ্রের, ২৪ এপ্রিল ২০৫, ২১৩ ও ৮৬৪ নং কেন্দ্রের খোঁজ-খবর নিই। ২৭ এপ্রিল (গোপন সংবাদের ভিত্তিতে) ২১৩ নং কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, এক পরীক্ষার্থী কাজল নামের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা দাবি ও নেয়ার অভিযোগ তুলে খোদ কেন্দ্র সচিবের নিকট। এ ছাড়া তাদের চাহিদা মোতাবেক (অতিরিক্ত) টাকা না দিলে পরীক্ষায় ফেল বা বহিষ্কারের হুমকি দেয়ারও অভিযোগ উঠে। পাশাপাশি ঠান্ডা মাথায় সূ² পরামর্শ দেন- এ ব্যাপারে কাউকে বিচার দিয়ে কোন লাভ নেই। কারন, দায়িত্ব প্রাপ্ত বড় কর্তা ব্যক্তিরা গোপনে তাদের রোল নম্বার টুকে নিয়ে এসফেল করবেন। কেউ জানবেও না। তাহলে তার ক্ষতি বিনা কোন লাভ হবে না। ভালো ফলাফলের জন্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নামে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫’শ টাকা করে আদায় করেছে রেজিষ্ট্রেশনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান। এ কাজে সহযোগিতা করে মেহেদী হাসান নামের কর্মচারীকে। চাপের পড়ে সংশ্লিষ্টরা আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি নামে প্রচার করছে। অথচ পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়ই ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি নেয়া হয়। এ বিষয়টা তো আর সহজ সরল মানুষ জানে না। বিশেষ করে যে সব প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষমতা নেই তারা বাধ্য হয়েই অন্য প্রতিষ্ঠানের দ¦ারস্থ হয়। সে সব প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা অবধারিত। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন-‘সত্যকে পাওয়া যায়Ñভুলের মধ্য দিয়ে।’ কিন্তু আমরা এমন মানুষ হাজার ভুল করেও সত্যকে পেলাম না। বরং সত্য খুঁজার জন্যই যেন একের পর এক ভুল করে চলছি। এক্ষনে গল্পের পাগলের কথা মনে পড়ে গেল-এক পথচারী এক পাগলকে বলে, এই পাগল সাঁকো নড়াসনে যেন, তাহলে পড়ে যাব। অমনি পাগল বলে-মনে করে দিলি কেন? বলেই সাঁকোতে জোরে জোরে ঝাঁকুনী দেয়। আর পথচারী বেচারা পড়ে যায়। ঠিক ওরাও যেন এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে। কারন, আমরা বাঙালিরা আর কিছু পারি বা না পারি অপকৌশল কিভাবে প্রয়োগ করতে হয় তা ঠিকই পারি। যেমন- এক বাঙালি বিদেশ গিয়ে ফ্ল্যাট বানানোর জন্য এক বিল্ডিংয়ে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার জায়গা কিনছে। সে ফ্ল্যাট বানানোর সময় যে উচ্চতার জায়গা কিনছে, ঠিক এক ফুট ফাঁকা রেখে তার নিচ পর্যন্ত কাজ করে। অন্য আরেক বাঙালি লোক ্ওই বিল্ডিংয়েই তার উপরে ফ্ল্যাটের জায়গা কিনে। কাজ করতে গিয়ে বাঁেধ যত গন্ডগোল। আগের বাঙালি পরের বাঙালিকে তার এক ফুট (ফাঁকা অংশ) রেখে কাজ করতে বলে। ‘দ্বার রুদ্ধ করে ভ্রমরটাকে রুখি, সত্যি বলতে কোথা দিয়ে ঢুকি’। ঠিক তেমনই ‘শর্ষের ভ‚ত তাড়াবে কে?’ আবার ‘গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার কোন মানে নেই।’ কিন্তু ‘কে শুনে কার কথা’। বিষয়টা যেন এমন-‘কানে গুজেছি তুলা, পিঠে বেঁধেছি কুলা’। দু:খ করে বলতে হয়-‘সব এক জোট হ্যায়’। কারন-‘উপায় নেই, গোলাম হোসেন।’ তাই বলতে হচ্ছে-‘হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকতে অন্ধ’। হে অবরুদ্ধ বঙ্গজননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ তো করনি’। অতএব-‘আবার তোরা মানুষ হ ’\ (লেখক- মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, ফিচার ও কলাম লেখক)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট