কামরুল হাসান:
আমার ছোট বউয়ের নাম পারি। প্রায় দেড় যুগ আগে তার সাথে পরিচয়। তাও একটি প্রচার ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে। এ পরিচয় থেকেই চেনা জানা। কাজের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই পারিকে সহযোগিতা করতে হতো। তাই দু’জনের মধ্যে বুঝা-পরাটাও ছিল চমৎকার। কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকসহ বিভিন্ন সমস্যা শেয়ার করতো। সাধ্যমত তা সমাধানের চেষ্টাও করতাম। তাই পারিও আমাকে সাংঘাতিক রকমের বিশ^াস করতো। ব্যক্তিগত গোপন বিষয়ও নি:সঙ্কুচে শেয়ার করতো। ধীরে ধীরে সে আমার উপর অনেকটাই নির্ভর্শীল হয়ে পড়লো। কবে কখন যে সে আমার ঘাড়ে ভর দিয়ে কার্য সিদ্ধি করে চলছে তা ভুলেও টের পাইনি। আমিও ক্রমশ: তার প্রতি দুর্বল হতে লাগলাম। পরে ফেরত দিবে বলে মাঝে মধ্যেই টাকা-পয়সাও ধার নিত সে। নানা উপহার সামগ্রীও নিত। কিছু দিন পর পর টাকার কথা শুধু মুখে বলতো পারি। কিন্তু ফেরত দেয়ার কোন মানসিকতাই ছিলনা তার। তাই আর নিজ থেকে তা ফেরত চাইতাম না। তারপরও পারি অনেকবার টাকা ধার চেয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে দিয়েছিও চাহিদার অর্ধেক। এক পর্যায়ে সে আমাকে নিজের লোক বলেই প্রকাশ করতে থাকে। তাকে আগে থেকে ছোট বউ বলেই ডাকতাম। ছোট বউও আমার মেয়েকে নিজের মেয়ে হিসেবেই জানে। এমন কি ছোট বউয়ের মাকে শ^াশুমা বলেই সম্বোধন করতাম। এতে তিনি প্রথম প্রথম ইতস্থতাবোধ করলেও পরে স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দিতো। এ বিষয়টা দুই পরিবারের লোকজনই জানতো। দেরিতে হলেও বুঝতে আর বাকি রইলো না যে, সবই ছিল তার ছলা-কলা! কারন-ইতোমধ্যেই সে বেশ কয়েক জনের সাথে সম্পর্ক করেছিল। এছাড়াও আগে ছোট বউয়ের আরও দু’টি বিয়ে হয়েছিল। অথচ ্এখনও সে নিজেকে অবিবাহিত বলেই প্রচার করে। প্রথম স্বামীর ঘরে থাকতেই ছোট বউ পালিয়ে গিয়ে ভাসুরের ছেলেকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। অবশ্য সে বিয়ে বেশি দিন টিকে নি। একই সময়ে ছোট বউ একাধিক জনের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। তার স্বার্থের বিঘœ ঘটলেই সম্পর্কের লোকটিকে হেনস্তা করতে দ্বিধা করে না। এ সব তার আপনজনদের মুখ থেকেই জানা যায়। তার মায়েরও নাকি একাধিক বিয়ে হয়েছে। আর যাই হোক তার রুচিবোধ আর আত্ম সম্মানবোধ প্রখর। অনেক সময় নিজের বিষয়ে মিথ্যা ও অসত্য প্রকাশ করতো। এক সময় এসবই তার কাল হলো। তাই তাকে যাচাইয়ের জন্য একটি ইতিবাচক লেখা প্রকাশ করি। এ নিয়ে বড় ঝামেলায় পড়তে হয়। ছোট বউ ক্ষিপ্ত হয়ে রীতিমতো গালাগালিসহ নানা হুমকি দিতে লাগলো। কারন হিসেবে জানা যায়, ওই লেখার জন্যই নাকি তার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে। পরে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি অন্যদের সহযোগিতায় সে যাত্রা বেঁচে গেছি। পারি’র হঠাৎ বিয়ের শখ জেগে বসলো! তাই সে এখন বিয়ের স্বপ্ন দেখছে!