কামরুল হাসান:
জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নে চলতি মাসের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির জন্য সরবরাহকৃত চালের বস্তার ওজন কম থাকার অভিযোগ ওঠেছে। সে কারনে বেশ কয়েকজন উপকারভোগী তাদের বরাদ্দের চাল না পেয়ে বাড়ি চলে যান। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাগন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন কি?
জানা যায়, এ ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরনের জন্য চার জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে ছোনটিয়া বাজার পয়েন্টের ডিলার হলেন আঃ রহিম। তিনি ৫৫৫ জন উপকারভোগির মধ্যে চালবিতরন করছেন। নিয়মানুযায়ী জন প্রতি ৩০ কেজি করে চাল পাবেন তারা। চলতি মাসের ২৪ তারিখেও তিনি এ কর্মসূচির চাল বিতরন করেন। স্থানীয়দের অনেকেই (নাম গোপন রাখার শর্তে) জানান, সে দিন ১২ উপকারভোগী তাদের বরাদ্দের চাল না পেয়ে বাড়ি চলে যান। আর যারা চাল পেয়েছেন তারা ২৭-২৮ কেজি করে চাল পেয়েছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডিলার আঃ রহিম জানান, জন প্রতি ৩০ কেজি হিসেবে তার পয়েন্টের ৫৫৫ জন উপকারভোগির জন্য ১৬,৬৫০ কেজি চাল বরাদ্দ হয়। তাই কর্তৃপক্ষ ৫০ কেজির ৩৩৩টি বস্তা সরবরাহ করেছে। কিন্তু সরবরাহকৃত বস্তায় ৫০ কেজির স্থলে ৪৬-৪৮ কেজি করে চাল পাওয়া গেছে। তাই ৬ জন উপকারভোগি তাদের চাল পায় নি। এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার দিগপাইত ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান তালুকদারকে জানিয়েছেন। এমন কি এ দফায় চাল না পাওয়াদের পরের দফায় একসাথে দুই দফার চাল দিবেন। তা কেমন করে দিবেন? উত্তরে তিনি তার কৌশল খুলে বলেন, প্রতি দফায় কিছু চাল বেশি হয়। সে চাল থেকেই দিয়ে দিবেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে প্রথমে তিনি জানান, না তো চাল কম পড়েনি তো। কেউ তো তা জানায় নি। বস্তায় চাল কম থাকার কারনে ৬ জন তাদের চাল পায়নি বলে ডিলার তো স্বীকার করেছেন। তখনি তিনি সুর পাল্টিয়ে বলেন যে, হ্যাঁ, ডিলার তো একবার চাল কম কম লাগছে বলেছিলেন। কর্তৃপক্ষ বস্তার ওজন করে বরাদ্দকৃত চাল সরবরাহ করে। আর যিনি বরাদ্দের চাল বুঝে নেন, নিয়মানুযায়ী তিনি সঠিক পরিমান চাল বুঝে পেয়েই স্বাক্ষর করে চাল নিয়ে আসেন। তাহলে ওই ডিলার চাল কমের অভিযোগ উঠালেন কেন? আর এ অভিযোগ তো সংশ্লিষ্ট দপ্তর তথা সরকারের উপর! এ বিষয়ে তার নিকট মন্তব্য চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। সচেতন মহলের দাবি- প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাগন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন কি?
কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২